এস এম আব্দুল্লাহ সউদ, কালাই উপজেলা প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করে তিনফসলি কৃষি জমি নষ্ট করে শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে জয়পুরহাটের কালাইয়ে স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে জয়পুরহাটের পুরানাপৈল এলাকার প্রভাবশালী ইটভাটা মালিক বেলায়েত হোসেন লেবু মন্ডল। স্থানীয়রা জানান,গভীর নলকূপ স্কিমের প্রায় ৪০ একর তিনফসলি কৃষি জমিকে হুমকির মুখে ফেলে এখানে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে।ইটভাটা মালিক প্রশাসনের কাছে প্রকৃত তথ্য গোপন রেখে হয়ত নির্মাণের অনুমতি নিয়েছেন,যা তদন্ত করলে তার সত্যতা পাওয়া যাবে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি ) উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের উত্তর ভাবকী গ্রামের সামনে কালাই-ক্ষেতলাল আঞ্চলিক রাস্তার উত্তর পার্শ্বে সরজমিন গিয়ে স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী লেবু মন্ডল হারুঞ্জা হিন্দুপাড়া গ্রামের শ্রী গৌতম চন্দ্র চাকী নুপুরের নিকট থেকে কৃষিপণ্য আবাদ করার জন্য প্রায় ৬ বিঘা ফসলি জমি ক্রয় করেন।কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ও-ই ফসলি-জমিতে শ্রেণি পরিবর্তন করে শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন।অথচ এই মাঠে হারুঞ্জা ও উত্তর ভাবকী গ্রামের কৃষকদের প্রায় ৪০ একর জমিতে তিনফসলি শস্য আবাদ হয়।এই মাঠের পানি যাওয়ার নালাগুলো একটু নিচু হওয়ায় গভীর নলকূপের পানি ও বৃষ্টির পানি পশ্চিম দিকে গড়িয়ে যায়।কিন্তু আঞ্চলিক রাস্তার পাশে ফসলি জমিতে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সীমানা নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় নালাগুলো নষ্ট হওয়ার আশংকায় তারা শঙ্কিত।
কৃষকদের অভিযোগ,কৃষিজমিতে স্থাপনা নির্মাণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নালাগুলো নষ্ট করে সীমানা প্রাচীর গড়ে তোলার এমন অদৃশ্য ক্ষমতার জোর সবাইকে অবাক করেছে।বর্ষা মৌসুমে নালাগুলোতে পানি জমে ফসল নষ্ট হলে কৃষকরা যাতে নিরুপায় হয়ে ইটভাটা মালিকের কাছে স্বল্পমূল্যে জমি বিক্রি করে দেয়,সেই ফাঁদ পেতেছে বলে মনে করেন কৃষকরা।
কৃষি জমি নষ্ট করে শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে বেলায়েত হোসেন লেবু বলেন,জমির মালিক নুপুরের কাছ থেকে এখনো জমি রেজিষ্ট্রেশন করে নেয়া হয়নি।তাদের নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা থাকায় আগে দখলের জন্য সীমানা প্রাচীর দেয়া হচ্ছে।জমির মালিকসহ স্থানীয় আহম্মেদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী নিজে উপস্থিত থেকে জমি মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক।তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দিয়ে অনুমতি নিয়ে নিবেন।এখানে কি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি!
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হায়াত বলেন,কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে অন্য কোনো ধরনের শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সুযোগ নেই।অবশ্যই খোঁজখবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।